‘লুকিয়ে কিছু খেলেও রোজা ভাঙ্গে না’



‘লুকিয়ে কিছু খেলেও রোজা ভাঙ্গে না’


রোজা রাখা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মতোই, তারকাদেরও রয়েছে মজার কিছু স্মৃতি। গ্লিটজ-এর পাঠকদের জন্য আজ সেরকমই এক মজার স্মৃতি ভাগাভাগি করে নিয়েছেন মডেল এবং অভিনেত্রী পিয়া বিপাশা।

শৈশবে রোজা রাখার প্রবল ইচ্ছে নিয়ে ভোররাতে উঠে সবার সঙ্গে সেহেরি খেতেন পিয়া। কিন্তু মায়ের আদরের কারনে সকালের ঘুম থেকে উঠেই নাস্তা করতে হত তাকে।

সেই দিনগুলোর কথা মনে করে তিনি বলেন, “আমার বয়স যখন সাত কিংবা আট হবে সেই সময়টায় আম্মু আমাকে কখনোই রোজা রাখতে দিত না। আমি যতই জেদ করতাম কিন্তু কোন কাজই হতো না। ভোররাতে তাদের সাথে সেহেরি করলেও সকালে ঘুম থেকে উঠার পরেই আম্মু আমাকে সকালের নাস্তা করাতো।”

মায়ের আদরের কথা মনে করে তিনি আরও বলেন, “আম্মু সবসময় বলতো অন্ধকারে কিছু খেলে, লুকিয়ে কিছু খেলেও রোজা ভাঙে না!”

তবে বড় হবার পরই সবকিছু গেল পাল্টে!

পিয়ার ভঅষ্যে, “আমার যতদূর মনে পড়ে আমি যখন তৃতীয় কিংবা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি ঠিক তখন থেকেই বড়দের মতো প্রথম বড় রোজা রাখা শুরু করি। রোজা রাখার পরে দিনের বেলায় দুপুরে যখনই খিদে পেতো তখন খেতে চাইলেই তিনি বলতেন, ছোটবেলায় খেয়েছো কিন্তু এখন মোটেও খেতে পারবে না!”
বড় হলে গেলেও এখনো নাকি রোজার সময় ভুলে খেয়ে ফেলেন পিয়া! 


হাসতে হাসতে তিনি বললেন, “এখন তো আর ছোট নই। যথেষ্ট বড় হয়ে গেছি। কিন্তু এখনও রোজার সময় প্রথম দশ-বারো দিন রোজার সময় নিজের অজান্তেই ভুলে পানি পান করে ফেলি! কিন্তু যখনই মনে হয় আরে আমি তো রোজা তখনই মুখ থেকে পানি ফেলে দেই।”

মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়্যার শুরু করলেও ২০১২ সালের একটি সুন্দরী প্রতিযোগীতার মাধ্যমে আলোচনায় আসেন পিয়া বিপাশা। এরপর বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে মডেলিং করলেও একটি বেসরকারী মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন তাকে এনে দেয় তারকাখ্যাতি।

মডেলিং ছাড়াও টিভি নাটকের নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠেন পিয়া। এছাড়াও অভিনয় করেছেন বেশ কিছু মিউজিক ভিডিওতে।

২০১৬ সালে সায়েম জাফর ইমামীর ‘রুদ্র দ্য গ্যাংস্টার’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় অভিষিক্ত হন পিয়া বিপাশা। সিনেমাতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক এবিএম সুমন।


শেয়ার করুন

লেখকঃ

I am in.