Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

তুই কি আমার দুঃখ হবি

তুই কি আমার দুঃখ হবি
তুই কি আমার দুঃখ হবি


তুই কি আমার দুঃখ হবি

আনিসুল হক

তুই কি আমার দুঃখ হবি?
 এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউলAnisul Haque
 রুখো চুলে পথের ধুলো
 চোখের নীচে কালো ছায়া।
 সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
 তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
 মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
 তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
 নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
 ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
 ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
 একটি নীলাভ এনভেলাপে পুরে রাখা
 কেমন যেন বিষাদ হবি।
 তুই কি আমার শুন্য বুকে
 দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
 নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
 একটুখানি কষ্ট দিবি।
 নিজের ঠোট কামড়ে ধরা রোদন হবি?
 একটুখানি কষ্ট দিবি।
 প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
 কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
 একটুখানি কষ্ট দিবি।
তুই কি একা আমার হবি?
 তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?

কবিতা খতিয়ান – রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ

কবিতা খতিয়ান – রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ
কবিতা খতিয়ান

খতিয়ান 
রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ


হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় ঋণে
অথচ আমার শস্যের মাঠ ভরা।
রোদ্দুর খুঁজে পাই না কখনো দিনে,
আলোতে ভাসায় রাতের বসুন্ধরা।

টোকা দিলে ঝরে পচা আঙুলের ঘাম,
ধস্ত তখন মগজের মাস্তুল
নাবিকেরা ভোলে নিজেদের ডাক নাম
চোখ জুড়ে ফোটে রক্তজবার ফুল।

ডেকে ওঠো যদি স্মৃতিভেজা ম্লান স্বরে,
উড়াও নীরবে নিভৃত রুমালখানা
পাখিরা ফিরবে পথ চিনে চিনে ঘরে
আমারি কেবল থাকবে না পথ জানা–

টোকা দিলে ঝরে পড়বে পুরনো ধুলো
চোখের কোণায় জমা একফোঁটা জল।
কার্পাস ফেটে বাতাসে ভাসবে তুলো
থাকবে না শুধু নিবেদিত তরুতল
জাগবে না বনভূমির সিথানে চাঁদ
বালির শরীরে সফেদ ফেনার ছোঁয়া
পড়বে না মনে অমীমাংসিত ফাঁদ
অবিকল রবে রয়েছে যেমন শোয়া

হাত বাড়ালেই মুঠো ভরে যায় প্রেমে
অথচ আমার ব্যাপক বিরহভূমি
ছুটে যেতে চাই– পথ যায় পায়ে থেমে
ঢেকে দাও চোখ আঙুলের নখে তুমি।