অভিষেকেই রাহুলের রেকর্ড, হেসেখেলে জিতল ভারত
এবার আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ছক্কা মারার জন্য বেশ খ্যাতি কুড়িয়েছেন। লোকেশ রাহুলের ছক্কা মারার ক্ষমতাটা দেখা গেল আজও। ভারতের ইনিংসের শেষ দিকে এসে সমীকরণটা ছিল এমন, জয়ের জন্য দরকার ২ রান, তাঁর সেঞ্চুরি হতে ৬। ভারতের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচে প্রথম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা কী দুর্দান্তভাবেই না গড়লেন রাহুল! হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলটাকে উড়িয়ে মারলেন গ্যালারিতে। ছক্কা! ১১৫ বলের ইনিংসে প্রথম ছক্কা, তাতেই প্রথম ভারতীয় হিসেবে অভিষেক ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৯ উইকেটের জয় এনে দিয়েই মাঠ ছাড়লেন রাহুল।
সেঞ্চুরির জন্য দ্বিতীয় উইকেট জুটির সঙ্গী আম্বাতি রায়ডুকে বড় একটা ধন্যবাদ নিশ্চয়ই দেবেন রাহুল। একটা সময় সমীকরণটা ছিল, ভারতের দরকার ২০, রাহুলের সেঞ্চুরি পেতেও তা-ই। ৬২ রানে অপরাজিত রায়ডু ওই সময়ে স্ট্রাইক পেয়েও কোনো রান নেননি বলেই তো রাহুলের সেঞ্চুরিটা হলো। এই দুজনের ১৬২ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিই ভারতকে এনে দিল বড় জয়।
অবশ্য ভারত যে হেসেখেলেই জিততে যাচ্ছে, সেটি জিম্বাবুয়ে ইনিংসের পরই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। টস জিতে মাসাকাদজা-চিবাবাদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু বারিন্দর স্রানের রহস্য, সঙ্গে জসপ্রিত বুমরাহ ও ধাওয়াল কুলকার্নির সুইংয়ের সঙ্গে পেরে উঠল না জিম্বাবুয়ে। একদিকে উইকেট পড়েছে, রানের গতিও তাই অস্বাভাবিক রকম ধীর। প্রথম ৩০ ওভারেও জিম্বাবুয়ের রান হলো মাত্র ৯১, উইকেটও পড়ে গেছে। গত দশ বছরে ওয়ানডেতে প্রথম ৩০ ওভারে এর চেয়ে কম রান দেয়নি ভারত। তবু শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ে ১৬৮ রান করতে পেরেছে এলটন চিগুম্বুরার ৬৫ বলে ৪১ রানের ইনিংসটার সৌজন্যে।
এই ম্যাচটা হয়তো চোখে আঙুল দিয়ে ভারত ও জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট সামর্থ্যের ব্যবধানটা বুঝিয়ে দিল। ভারতীয় দলকেই দেখুন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ওয়ানডে খেলেছেন ২৭৫টি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ ভারতীয় দলে বাকি যে দশ খেলোয়াড় ছিলেন, তাঁদের মিলিত ওয়ানডে-অভিজ্ঞতাও ধোনির চেয়ে ২০২ ম্যাচ কম। দশ খেলোয়াড় মিলে ওয়ানডে খেলেছেন ৭৩টি, অভিষেকই হলো তিনজনের।
প্রায় আনকোরা দল, তবে মাঠে সেটি আর বুঝতে দিল কই ভারত! পূর্ণশক্তির জিম্বাবুয়েকে তারা হারাল একেবারে হেসেখেলেই।