Showing posts with label যৌন জীবন. Show all posts
Showing posts with label যৌন জীবন. Show all posts

চাকরি হারালেন ছাত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস

চাকরি হারালেন ছাত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস
চাকরি হারালেন ছাত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস

চাকরি হারালেন ছাত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস

    ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও চাকরির শর্ত অনুযায়ী তাকে ৪ মে থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সফিউল্লাহ সোমবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ৪ মে রাজধানীর রমনার একটি ফ্ল্যাট থেকে শিক্ষক ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর পর গত শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন তিনি।

জবানবন্দিতে শিক্ষক ফেরদৌস জানান, প্রথমে ছাত্রীদের ফুঁসলিয়ে নিজের শ্বশুরের দেওয়া ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতেন তিনি। পরে তাদের কাছে নগ্ন সেলফি চাইতেন। এরপর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়তেন। উভয়ের সম্মতিতেই এটা হতো।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেন, প্রথমে ছাত্রীদের শর্ত প্রদান করতাম। আমি তোমাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেব ও ভালো নম্বর দেব। এর বিনিময়ে আমি যা চাইব তা দিতে হবে। এতে ছাত্রীরা রাজি হলে তাদেরকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতাম। ফ্ল্যাটে নেওয়ার পর তাদের সঙ্গে গল্প করতাম এবং তাদের নগ্ন সেলফি চাইতাম। বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করতাম। কোনো কোনো ছাত্রী আমার আচরণ বুঝতে পেরে চলে যেত। আর যাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠতো তা উভয়ের সম্মতিতেই হতো। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রীই প্রাপ্তবয়স্ক।

এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল সায়েম কলাবাগান থানায় মামলা করেন। পরে ওই রাতেই কলাবাগানের বাসা থেকে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বুধবার তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।ত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস

পূরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে : ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি

পূরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে : ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি
পূরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে : ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি

 

পূরুষদের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে : ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি


সম্প্রতি এক গবেষণা রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে, ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম তৈরি করছে, যারা শোবার ঘরে একেবারেই হতাশাজনক। নতুন এই মিডিয়া তরুণগোষ্ঠীকে এতই আকৃষ্ট এবং প্রভাবিত করছে যে, তারা প্রকৃত নারীর সান্নিধ্যে তেমন একটা আকর্ষণ অনুভব করছে না। যৌন অক্ষমতা এখন কেবল আর খারাপ শরীরের প্রৌঢ়দের মাঝেই সীমাবদ্ধ নেই, এটা এখন তরুণ জনগোষ্ঠীর ভেতরও প্রকট হতে শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের খুব সন্মানজনক গবেষণা জার্নাল, ‘সাইকোলজি টুডে’-তে একটি গবেষণাপত্রে সম্প্রতি উল্লেখ করা হয়েছে, এ বিষয়টি এখন এতই স্বাভাবিক হয়ে গেছে যে, মাত্র ২০ বছরের তরতাজা যুবকও প্রকৃত অর্থে স্বাভাবিক যৌনাচরণ করতে পারছে না। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, যারা পর্ণো দেখে তাদের যৌন উত্তেজনা তৈরিতে ব্রেনে এক্সট্রিম উত্তেজনার (ডাক্তারি ভাষায় এটাকে বলে (ডোপামাইন স্পাইক) প্রয়োজন হয়। আর একবার এই উত্তেজনায় অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তখন সাধারণ নারীতে আর সেই উত্তেজনা আসে না এবং ব্রেন ঠিকমত কাজ করে না। ফলে তারা নপুংশক হয়ে যায়।
রিপোর্টটির লেখিকা মারনিয়া রবিনসন্স বলেন, যৌন উত্তেজক গল্প, ছবি, ভিডিও—এগুলো আগেও ছিল। কিন্তু ইন্টারনেটের কারণে এই ‘ডোপামাইন স্পাইক’ সীমাহীন পর্যায়ে চলে যেতে পারে। ফলে এর প্রভাব অনেক বেশি ক্ষতিকর। অনেক যুবকের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে, তাদের ওপর এই ডোপামাইন স্পাইকের প্রভাব এতই বেশি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রমাগত পর্ণো না দেখলে তারা যৌন উত্তেজনাই অনুভব করে না। তাদের কেউ কেউ খুবই হতাশ হয়ে পড়েন, যখন দেখতে পান তাদের স্বাভাবিক যৌন জীবন আর স্বাভাবিক থাকছে না। পাশাপাশি অনেকেই জানে না, ইন্টারনেট পর্ণোগ্রাফি এভাবে যৌন উত্তেজনাকে কমিয়ে ফেলতে পারে এবং এটা জানার পর তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।
রবিনসনের মতে, এর থেকে মুক্তির উপায় হলো ব্রেনকে আবার রিবুট করা। অর্থাত্ পর্ণোগ্রাফি দেখা একদম বন্ধ করে দেয়া এবং কয়েক মাস পুরোপুরি বিশ্রাম নেয়া। এর ফলে ব্রেন থেকে সেই অতি উত্তেজনাকর সিগনালগুলো দুর্বল হয়ে যাবে এবং একটা সময় সেই মানুষটি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতেও পারে। উঠতি বয়সী তরুণদের হাতে এখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে। এর অর্থ হলো, তাদের কাছে পর্ণোগ্রাফি ২৪ ঘণ্টাই হাতের কাছে রয়েছে। আর ওই বয়সে একবার তাতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে, তার পুরো জীবনের ওপর সেটা প্রভাব ফেলতে বাধ্য।
প্রতিটি বাবা-মা’র উচিত হবে, এ বিষয়গুলো তার সন্তানদের ভালো করে বুঝিয়ে দেয়া এবং তরুণ বয়সী ছেলেমেয়েদের বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা। মনে রাখতে হবে, ‘সেক্স এডুকেশন’ আর ‘সেক্স’ এক জিনিস নয়। শিক্ষা মানুষকে সুন্দর করার জন্য। তাই ভুল কোনো ধারণায় বশবর্তী না হয়ে সঠিক শিক্ষাটি নিন, ভালো থাকুন।

শিক্ষকের কাছে যৌন লালসার শিকার ছাত্রীর কাহিনী…

শিক্ষকের কাছে যৌন লালসার শিকার ছাত্রীর কাহিনী…

শিক্ষকের কাছে যৌন লালসার শিকার ছাত্রীর কাহিনী…

শিক্ষকের কাছে যৌন লালসার শিকার ছাত্রীর কাহিনী…


প্রাইমনিউজ.কম.বিডি
যশোর : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে বিয়ে ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাস জুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। ওই শিক্ষক এবং ছাত্রীর রোমাঞ্চকর মুহূর্তের কিছু আপত্তিকর ছবিও এখন শিক্ষার্থীদের মোবাইলে ঘুরপাক খাচ্ছে। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে ভিসির টেবিলেও। সঙ্গে রয়েছে শিক্ষক ও ছাত্রীর বেশকিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি এবং কথোপকথনের অডিও এবং হট এসএমএস। ঘটনা তদন্তে গঠিত হয়েছে ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিও। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে ক্যাম্পাসে চলছে ছাত্র আন্দোলন।

যবিপ্রবি’র খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষপর্বের ছাত্রী শ্রীমতি অদিতি বিশ্বাস মৌ’র ভিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ থেকে জানা গেছে, একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আল হাসান বিয়ের প্রলোভন ও পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়া এবং থিসিসসহ সকল বিষয়ে পাস করিয়ে দেয়ার কথা বলে দীর্ঘ দুই বছর ওই ছাত্রীকে স্ত্রীর ন্যায় ব্যবহার করেছেন। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাগেরহাটের মেয়ে শ্রীমতি অদিতি বিশ্বাস মৌ জানান, “২০১০ সালে তিনি যবিপ্রবিতে খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ব্যাচ হলেও ওই বিভাগের প্রথম ব্যাচ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এক বছর পর থেকে তার ওপর কুনজর পড়ে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজুল আল হাসান ওরফে হাসান স্যারের। তিনি কারণে-অকারণে তাকে তার অফিস কক্ষে ডেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অতিবাহিত করেন। এক পর্যায়ে মৌ ধর্মীয় বিধিনিষেধ তুলে ধরে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করলে হাসান স্যার ওসব ভুলে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

এক পর্যায়ে মৌ পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেয়ারও পরিকল্পনা করেন। তখন হাসান স্যার তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখায়। স্যার বলেন, তুমি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করো আমি তোমাকে বিয়ে করবো। কিন্তু আমি ধর্মান্তরিত হতে রাজি না হলে তিনি নিজেই ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে আমাকে ভোগ করার ষড়যন্ত্র করতে থাকে। সুযোগটি আসে ২০১৩ সালের জুন মাসে। থিসিসের অংশ হিসেবে তার গ্রুপের ৪ ছাত্র ও ১ ছাত্রী মৌকে অধ্যাপক হাসান সাতক্ষীরার মুন্সিগঞ্জে একটি পুষ্টিবিষয়ক প্রকল্প পরিদর্শনে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থানকালে এক রাতে ঘটে সেই দুর্ঘটনা। ঘটনাটি বর্ণনা করতে গিয়ে অনেকটা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন মৌ। তারপরও নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, পরিদর্শনকালে স্থানীয় সুশীলন রেস্ট হাউজে আমাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। আমার রুমটি ছিল দোতলায়। আর ৪ ছাত্রসহ স্যার ছিলেন নিচতলায়।

রাত ১০টার দিকে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি আমার কক্ষে চলে যাই। বেশ কিছুক্ষণ পড়াশোনা করে ঘুমাতে যাবো এমন সময় দরজায় নক করার শব্দ পাই। প্রশ্ন করে জানতে পারি দরজায় হাসান স্যার দাঁড়িয়ে। সাত পাঁচ ভেবে শেষ পর্যন্ত দরজা খুলে দিই। হাসান স্যার ভেতরে ঢুকে নিজ থেকে দরজা লক করে দেন। তারপর অনেকটা জোর করে আমার সর্বস্ব লুট করেন। আমি বাধা দিলে তিনি আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। বলেন, মাস্টার্স শেষ হলেই তোমাকে আমি বিয়ে করবো। সে রাতে স্যার ২/৩ বার আমাকে ভোগ করেন। স্যার রুম থেকে চলে যাবার পর নিজেকে বড্ড অপরাধী মনে হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল নিজেকে শেষ করে ফেলি। এ মুখ আর কাউকে দেখাতে পারবো না। কিন্তু পরীক্ষা আর পরিবারের কথা ভেবে চেপে যাই। এর পর থেকে স্যার বিভিন্ন অজুহাতে আমাকে ব্যবহার করেছে। যশোর শহর ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্যারের অফিস কক্ষে, যশোর ও খুলনা শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে স্যার আমাকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে অদিতি জানান, “প্রথমে স্যার নিজেকে অবিবাহিত বলে দাবি করেন। এক পর্যায়ে জানতে পারি তিনি বিবাহিত। এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাসান জানান, অনেক আগে পারিবারিক সিদ্ধান্তে তার বিয়ে হয়। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তেমন কোন সম্পর্ক নেই। সে তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করবেন। শুধু আমার মাস্টার্স পরীক্ষাটা শেষ হলেই সব চূড়ান্ত হবে। আমিও তাকে বিশ্বাস করে সব উজাড় করে দিয়েছিলাম। আসলে আমি হাসানের প্রতিটি কথা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু একটি ঘটনার পর বুঝতে পারি সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। আসলে সে একজন লম্পট চরিত্রের লোক। তার কাজই হচ্ছে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে বা প্রেমের অভিনয় করে ছাত্রী পটানো। তারপর সময় আর সুযোগ বুঝে ওই ছাত্রীর সর্বস্ব লুটে নেয়া।”

অদিতি জানান, “তার বাইরেও বিভাগের একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে ওই লম্পট নানা অজুহাতে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। লোক লজ্জার ভয়ে তারা মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না। আর এসব বিষয়ে আমার কাছে কোন তথ্যপ্রমাণ না থাকায় আমিও ওই ছাত্রীদের পক্ষে দাঁড়াতে পারছি না।” অপর এক প্রশ্নের জবাবে অদিতি বলেন, দীর্ঘ দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে হাসান আমার সঙ্গে স্বামীর অভিনয় করেছে। সে একজন পাকা অভিনেতা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তার মধ্যে আমি পরিবর্তন লক্ষ্য করতে শুরু করি। সে আমাকে ওয়েটিংয়ে রেখে অপর মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতো। প্রায়ই সে আমাকে না জানিয়ে অন্য মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে যেত। তার ফোন ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওয়েটিংয়ে থাকতো। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে সে রেগে যেত। আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতো। এমনকি সে আমার গায়ে পর্যন্ত হাত ওঠানোর চেষ্টা করেছে। এক পর্যায়ে হাসান আমাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে। সর্বশেষ গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি আমি উপশহরে হাসানের বাড়িতে যাই।

দেখি সেখানে তার স্ত্রী নুসরাত এ্যানি ও তার মেয়ে চারু অবস্থান করছে। আমাকে দেখে নুসরাত চমকে ওঠেন। হাসান প্রসঙ্গ তুলতেই সে আমাকে সব খুলে বলেন। নুসরাত জানান, “সে আগে থেকেই অদিতি আর হাসানের সম্পর্কের কথা জানতো। নুসরাত বলেন, আসলে হাসান একজন লম্পট ও দুশ্চরিত্রের অধিকারী। সে এর আগেও একাধিক মেয়ের সর্বনাশ করেছে। এসব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করায় সে তার মেয়ে চারুকে বহুবার গলাটিপে মেরে ফেলার ভান করে তার স্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করেছে। তাকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে তার মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছে।” এদিকে মৌয়ের কাছে মুখোশ উন্মোচন হয়ে পড়লে হাসান তার কিছু পোষা গুণ্ডা দিয়ে অদিতি বিশ্বাস মৌকে ক্ষতি করার চেষ্টা করেন। সে তার বিভাগের একাধিক ছাত্রকে অদিতির পেছনে লেলিয়ে দিয়েছেন যারা প্রতিনিয়ত অদিতিকে নানা ভাবে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন বলে অদিতি দাবি করেন। ফলে বর্তমানে অদিতি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে অদিতি বলেন, “আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমার কাছে জীবন আর মরণের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এসব ঘটনা জানার পর আমার সমাজ বা ধর্ম আমাকে হয়তো গ্রহণ করবে না। আমার জীবন সম্পর্কে এখন আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাই আমি স্থির করেছি ওই লম্পটের উপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার লড়াই চলবে।”
তিনি জানান, ইতিমধ্যে তিনি ওই লম্পট শিক্ষকের মুখোশ উন্মোচন করতে ও উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করে যবিপ্রবি’র ভিসি বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে শিক্ষক হাসানের সঙ্গে তার বিভিন্ন রোমাঞ্চকর মুহূর্তের তোলা কিছু ছবি, মোবাইল ফোনে কথাবার্তার অডিও এবং বেশ কিছু যৌন উত্তেজনাপূর্ণ এসএমএস ডকুমেন্ট হিসেবে জমা দিয়েছেন। তিনি এই ঘটনার উপযুক্ত বিচার প্রার্থনা করেন।

এদিকে এ ঘটনা জানাজানি হওয়ায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উঠেপড়ে লেগেছে। এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ যবিপ্রবি’র উপদেষ্টাসহ উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও প্রক্টরের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। প্রদর্শন করেছে বিক্ষোভ মিছিল।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, গত ২৪শে মার্চ যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসানের বিরুদ্ধে স্নাতকোত্তরের ছাত্রী অদিতি বিশ্বাস মৌ যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলে। ওই ছাত্রী অভিযোগ করেন ‘বিয়ে ও প্রশ্ন দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সৈয়দ মাহফুজ আল হাসান তার সঙ্গে দুই বছর ধরে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন’। যা প্রমাণসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। কিন্তু তদন্ত কমিটি তদন্ত না করেই সবকিছু স্থগিত রাখেন। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয় মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ইকবাল কবীর জাহিদকে। সদস্য করা হয় মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সেলিনা আক্তার ও ফিসারিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মীর মোশাররফ হোসেনকে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত ২ মাসের মধ্যে এ কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেনি।

এদিকে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষী শিক্ষকের শাস্তি না হওয়ায় গত বুধবার থেকে হয়রানির শিকার ওই শিক্ষার্থীসহ তার আরও আট বন্ধু আন্দোলনে নেমেছে। তারা দোষী শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। সে সময় ক্যাম্পাসে উপস্থিত একাধিক সাংবাদিককে যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করা অবস্থায় কোন ছাত্রী তার বিভাগীয় স্যারের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলতে পারে না। তিনি বলেন, বিয়ের প্রলোভন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র দেয়া ও থিসিসে সর্বোচ্চ নম্বর দেয়ার কথা বলে তার সঙ্গে ওই লম্পট শিক্ষক যা করেছে তা যেন আর কোন শিক্ষার্থীর সঙ্গে না করতে পারে সে জন্য তিনি ওই শিক্ষকের শাস্তি ও বিচার দাবি করেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসান জানান, “দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র চলছে এই ঘটনা তারই অংশ। একটি পক্ষ ওই ছাত্রীকে ব্যবহার করে এসব মনগড়া অভিযোগ উত্থাপন করছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে তারা তদন্ত চালাচ্ছে। তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। থিসিসের ছাত্রী হিসেবে তার সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক থাকা উচিত তার চেয়ে কোন অতিরিক্ত সম্পর্ক আমার ছিল না। তাছাড়া, সে যে প্রশ্নপত্র সম্পর্কিত অভিযোগ তুলছে তা ২ বছর আগে শেষ হয়েছে কি কারণে, কাদের ইন্ধনে কেন এসব সে করছে তা বোধগম্য নয়। ওই ছাত্রী তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে এ বিষয়ে আন্দোলন করারও চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন। তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি ততদন্তাধীন। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা ঠিক হবে না। তবে তিনি আশা করেন তদন্তে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসবে। ”
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল কবীর জাহিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তদন্ত মাঝপথে আছে। কমিটির এক সদস্য ভারতে আছেন। অপর সদস্যের বাবা সম্প্রতি মারা গেছেন। তিনি ছুটিতে আছেন। ফলে একা তদন্ত করা যায় না। এ কারণে তদন্ত একটু থমকে আছে। কমিটির অপর দুই সদস্য আসলে ফের কাজ শুরু হবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন অতীতের ধারাবাহিকতায় তিনি সত্য উদঘাটন করে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিবেন।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) রেজিস্ট্রার আহসান হাবীব জানান, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রদের স্মারকলিপি দেয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, কিছু শিক্ষার্থী স্মারকলিপি দিয়েছে। কিন্তু যেহেতু বিষয়টি তদন্তাধীন। ফলে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না। তিনি তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা করার পরামর্শ দেন।

সঠিক যৌন জীবনের জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

সঠিক যৌন জীবনের জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরি
সঠিক যৌন জীবনের জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরি

সঠিক যৌন জীবনের জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরি


বিষয়টি মোটেও অবহেলা করার মতন কিছু নয়, কেননা যৌন জীবন বিপর্যস্ত হলে দাম্পত্য সম্পর্কেও তৈরি হতে শুরু করে নানান সমস্যা। তাই সুন্দর দাম্পত্যের সুস্থ যৌন জীবনটাও অত্যাবশ্যক। আমাদের সমাজে আমরা যৌনতা নিয়ে কথা বলি না, উপযুক্ত যৌন শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারেও আমরা আগ্রহী নই। ফলে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ যে অধ্যায়, সেটি নিয়ে বেশিরভাগ জিনিসই রয়ে যায় আমাদের ধারণার বাইরে।

অনেকেই এই তীব্র কৌতূহল মেটাবার জন্য আশ্রয় নিয়ে থাকেন পর্ণগ্রাফি বা চটি লেখার। ফলে তাঁদের ভ্রান্ত ধারণা বেড়ে যায় আরও অনেক বেশি। যৌনতা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা একজন মানুষের স্বাভাবিক যৌন জীবনকে বিপর্যস্ত করে তোলে।
জেনে নিন এমন ১০টি বিষয়, যেগুলো সুস্থ, সুন্দর ও সফল যৌন জীবনের জন্য মনে রাখা জরুরি।

১.যৌনতা সম্পর্কে পর্যাপ্ত ও সঠিক ধারণা থাকা একান্ত জরুরী। এক্ষেত্রে নানান রকম বৈজ্ঞানিক বইপত্র ও প্রবন্ধের সাহায্য নিতে পারেন। নিজে শিক্ষিত হোন, সঙ্গীকেও করে তুলুন।

২. যৌনতা কেবল শরীরি প্রেম নয়। সুন্দর ও আনন্দময় যৌন সম্পর্কের জন্য মানসিক ভালোবাসার বন্ধন অটুট হওয়া বাঞ্ছনীয়। এবং কেবল সেভাবেই সফল হতে পাত্রে আপনার যৌন জীবন।

৩.মনে রাখবেন, সৌন্দর্য দেহে নয়, সৌন্দর্য মানুষের দৃষ্টিতে। একেকটা মানুষের শরীর একেক রকম। প্রত্যেকেই তার নিজের মত করে সুন্দর। প্রিয়জনের মাঝে তার সেই বিশেষ সৌন্দর্যকে দেখার চেষ্টা করুন। আপনার নিজের শরীরের যেমন নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে, তার শরীরেও আছে। এই ব্যাপারটিকে সহজভাবে গ্রহণ করুন।
সঠিক যৌন জীবনের জন্য যে বিষয়গুলো জানা জরুরি


৪.বন্ধুদের সাথে যৌন জীবনে নিয়ে আলাপ আলোচনা হতেই পারে। কিন্তু কখনো তাঁদের সাথে নিজের যৌন জীবনকে তুলনা করবেন না। কিংবা তাঁদের সঙ্গীর সাথে নিজের সঙ্গীকেও নয়।

৫.সফল যৌন জীবনের সাথে শারীরিকভাবে সুস্থ ও ফিট থাকার একটা সম্পর্ক আছে। চেষ্টা করুন নিজেকে নীরোগ ও ঝরঝরে রাখতে।

৬. একটা কথা মনে প্রাণে গেঁথে নিন যে পর্ণগ্রাফি বা ব্লু ফিল্মে যা দেখানো হয় তার পুরোটাই অভিনয়। এসবে বাস্তবতার পরিমাণ খুবই অল্প। এত অল্প যে এগুলো নিজের বাস্তব জীবনে চেষ্টা করা অনেক ক্ষেত্রেই অসুস্থতার পর্যায়ে পড়ে এবং সঙ্গীও বিমুখ হয়ে পড়তে পারেন আপনার প্রতি। তাই পর্ণগ্রাফির ছায়া থেকে মুক্ত রাখুন নিজের যৌন জীবনকে।

৭. প্রতিটি মানুষের যৌন চাহিদা বা যৌন ইচ্ছা কোনক্রমেই এক রকম হবে না। নারী ও পুরুষের কাছেও যৌনতার অর্থ ভিন্ন রকম, চাহিদাও আলাদা আলাদা। তাই নিজের সঙ্গীকে বুঝতে চেষ্টা করুন। তার চাহিদা বুঝুন, তাঁকে নিজের চাহিদা বোঝান। দুজনে সমঝোতার মাধ্যমে গড়ে তুলুন সুন্দর যৌন জীবন।

৮. যৌনতাই দাম্পত্য বা ভালোবাসার একমাত্র মাপকাঠি নয়। এটা যেমন সত্য, সাথে এটাও সত্য যে যৌনতা একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ বটে। সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন পেতে অবশ্যই এক সময়ে একজন সঙ্গীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকুন। একাধিক সঙ্গী আপনাকে মূলত কারো সাথেই সুখী হতে দেবে না। শারীরিক সুখ হয়তো আসবে, মানসিক প্রশান্তি নয়।

৯. মিষ্টি স্পর্শ, ছোট্ট আদর, প্রশংসা মূলক কথা, পরস্পরের নিঃশ্বাসের একান্তে থাকা ইত্যাদি যৌনতার মতই গুরুত্বপূর্ণ। আর এগুলোর বহিঃপ্রকাশের ওপরেই নির্ভর করে সফল যৌন জীবন।

১০. কেবল নিজের তৃপ্তি নয়, সঙ্গী মানসিক ও শারীরিকভাবে তৃপ্ত হচ্ছেন কিনা সেটাও অতি অবশ্যই লক্ষ্য রাখুন।

যৌন শিক্ষা , আপনার সন্তানকে কিভাবে দিবেন ?

যৌন শিক্ষা , আপনার সন্তানকে কিভাবে দিবেন ?
যৌন শিক্ষা , আপনার সন্তানকে কিভাবে দিবেন ?


যৌন শিক্ষা , আপনার সন্তানকে কিভাবে দিবেন ?

যৌন শিক্ষার বিষয়ে আমাদের দেশের মা বাবারা কমবেশি সবাই এড়িয়ে জেতে চান। কিন্তু না এই বিষয়ে সবার ভালো জ্ঞান থাকা দরকার। কেননা এটা আমাদের জীবনেরই একটি অংশ। এই বিষয়ে সবার খোলামেলা আলোচনা করা উচিত।

সবে মাত্র কথা বলতে শুরু করতে না করতেই আপনার বাচ্চা দুম করে জানতে চাইতে পারে, ‘মা, আমি কিভাবে হলাম?’ কি উত্তর দেবেন আপনি? হয়তো আপনার বাচ্চা বড় হয়ে পা দিয়েছে বয়ঃসন্ধিতে। ওকে খুব অচেনা লাগছে আজকাল। এড়িয়ে চলছে আপনাকে। অবাক হচ্ছেন বা রেগে যাচ্ছেন ওর কিছু অভ্যাসে, আচরণে। অথচ আপনার হাত-পা বাঁধা। কিছুই করার নেই আপনার? হয়তো ক্লাস নাইনের মেয়ে জানতে চাইছে একান্তে, ‘ঋতুচক্রের ব্যাপারটা আসলে কি? কেন এমন হয়?’ কি বলবেন? হয়তো মানসিকভাবে ম্যাচিওরড হওয়ার আগেই শরীরে খুব বাড়ছে আপনার মেয়ে। খুব ভয় করছে আপনার।

কখন কি বিপদ ঘটে যায়! চুপ করে থাকবেন? নাকি কিভাবে ব্যাপারটা বলা যায় ওকে ভাবতে ভাবেতই কাটিয়ে দেবেন সময়? বিয়ে ঠিক হয়েছে মেয়ের। বিয়ের ঠিক আগে ও জানতে চাইছে ‘সেফ পিরিয়ড’ কোনটা? এড়িয়ে যাবেন? লজ্জা পেয়ে সরে যাবেন? নাকি নিজেকে দুষবেন নিজেই ব্যাপারটা জানেন না বলে?

না, আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছি না। শুধু জীবনের একান্ত জরুরি এক বিশেষ শিক্ষা সম্পর্কে আপনাকে সচেতন করে তোলার উদ্দেশ্য নিয়ে এই নিবন্ধ। জরুরি ব্যাপার হল ‘সেক্স এডুকেশন’।- বাংলায় বিজ্ঞানসমমত যৌনশিক্ষা। এই শিক্ষার সবচেয়ে সুন্দর আর আদর্শ নাম হতে পারে ‘ফ্যামিলি লাইফ এডুকেশন’। -মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এই নামটাই চলে। বাংলায় বলা যায় ‘পারিবারিক জীবনের শিক্ষা’।

কি ভাবছেন? এ সব আবার কেন? ভয় পাবেন না, বাজারি সেক্স ম্যানুয়াল পড়তে বলা হচ্ছে না আপনাকে। শুধুমাত্র জেনে বুঝে নিতে বলা হচ্ছে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যৌনতার বিজ্ঞান আর মনস্তত্ত্বকে। জেনে বুঝে নিতে ব্যাঙের প্রজননতন্ততেই পাঠ শেষ করার দিন শেষ। জানতে হবে মানবপ্রজননের বিজ্ঞানকে, এর মল সত্রগুলোকে। জেনে বুঝে নিতে হবে যৌবনের শুরু আর শেষ, এই দুই প্রান্তিক সময়কালের পরিবর্তন আর সমস্যাগুলোকে। জন্মনিয়ন্ত্রণ আর যৌনরোগ-এই দুটো বিষয়েও তুচ্ছ, বাস্তবসমমত ধারণা তৈরি করে নেয়া দরকার সবার জন্য।যৌন শিক্ষা , আপনার সন্তানকে কিভাবে দিবেন ?

করতেই হবে, বিকল্প নেই। যৌনতাকে নিয়ে আজও আমাদের সমাজে যে ব্যাপক শুচিবাতিকগ্রস্ততা, তা আসলে ভাবের ঘরে চুরি, এক ধরনের চরম ভন্ডামি। জীবনের জরুরি একটা অঙ্গকে ‘নিষিদ্ধ আপেল’ বানিয়ে রেখে যতই বালিতে মুখ গুঁজে থাকি আমরা, আজকের সময় তার নিজের মতো কবে উশুল করে নিচ্ছে এই না-জানা না-বোঝার দাম, সুদেমলে। প্রাক বৈবাহিক যৌন সংসর্গের ঘটনা ক্রমাগত বাড়ছে, বাড়ছে অবৈধ গর্ভনাশ আর তার নানা জটিলতার ঘটনা। সিফিলিস, গনোরিয়ার পাশাপাশি যৌনরোগ এইডস ঢুকে পড়েছে আপনার-আমার দেহেও। চারপাশে যৌন অপরাধ বাড়ছে ক্রমাগত, লাফ দিয়ে দিয়ে বাড়ছে যৌন হয়রানি বা ‘সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট’-এর ঘটনা। এমন একটা বিপন্ন সময়ে ‘সেক্স এডুকেশন’-এর কোনো বিকল্প নেই। আশার কথা, অনেক দেরিতে হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মেনে মানবপ্রজনন আর এ সংক্রান্ত শিক্ষা এখন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠছে আমাদের দেশেও।

বাচ্চার প্রশ্নের ঠিক ঠিক উত্তর দিতে শিখুন

মাঝে-মধ্যে বাচ্চারা জন্মরহস্য নিয়ে নানা প্রশ্ন করবেই। ওদের চুপ করিয়ে দেবেন না বা অন্য কথায় ভোলাতে যাবেন না। এরকম প্রশ্নের উত্তর হবে বিজ্ঞানসম্মত অথচ বাস্তবমুখী। ঘাবড়ে যাবেন না, ফিসফিস করে বলবেন না, ছেলেমেয়ের এরকম প্রশ্নের উত্তর দিন সহজ-সরলভাভাবে, গল্পচ্ছলে। বাচ্চা যেন না ভাবে ব্যাপারটায় আপনি অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছেন বা কিছু লুকোচ্ছেন।

‘আগে বড় হও, পরে সব জানতে পারবে’ বা ‘এ সব জানার জন্য তুমি এখনও খুব ছোট’-এরকম দায়সারা উত্তর বাচ্চার পক্ষে ক্ষতিকর। উত্তরটা কিভাবে দেবেন জানা না থাকলে বাচ্চাকে বলুন, ’বা! বেশ ভালো প্রশ্ন করেছ তুমি। এর উত্তরটা সহজে তোমাকে কিভাবে বোঝানো যাবে তা নিয়ে আমাকে একটু ভাবতে সময় দাও।’ বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে জেনে পরে বাচ্চাকে সহজ করে বুঝিয়ে দিন।

‘না’ দিয়ে বলবেন না

নর-নারীর সম্পর্ক বা জন্মরহস্য নিয়ে বাচ্চার প্রশ্নের মুখোমুখি আপনার উত্তর হবে আবশ্যিকভাবে সদর্থক। বাচ্চা অশ্লীল কথা বললে ‘এরকম কথা আর ভুলেও বলবে না’ বলে বাচ্চাকে বকলে ব্যাপারটাকে নিষিদ্ধ ভেবে এর প্রতি ওর আকর্ষণ আরও বাড়বে।

যৌনশিক্ষার বিজ্ঞান বলে, বাচ্চাকে নরম করে বলুন, ‘এরকম কথা বললে আমি খুব কষ্ট পাই। আমি কষ্ট পাই তা কি তুমি চাও? এই কথাগুলো বলতে পারেন নিজের মতো করেও।

বাচ্চাদের প্রশ্নের দুটি আদর্শ উত্তর হতে পারে এরকম-

মা আমি কি করে হলাম?

তুমি হয়েছ আমার আর তোমার বাবার ভালোবাসা থেকে। আমরা দু’জনে ভালোবেসে তোমায় চাইলাম, তাই তো তুমি হলে সোনা!

মায়ের পেট থেকে বাচ্চা কিভাবে বেরোয়?

মায়ের পেটের ভেতর একটা থলির মধ্যে বাচ্চা আস্তে আস্তে বড় হয়। তারপর অনেকটা বড় হয়ে জন্মের একটা রাস্তা আছে, সেই রাস্তা দিয়ে বাচ্চা মায়ের শরীর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। ঠিক যেভাবে স্কুল ছুটি হয়ে তুমি ক্লাসের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আস।

বাচ্চার ব্যাপারে যা করবেন না

টিনএজের ছেলেমেয়ের বাবা-মায়েরা শিখুন

বয়ঃসন্ধি সব ছেলে মেয়ের জীবনেই এক ধরনের পরীক্ষা। শরীর-মনে দ্রুতলয়ে ঘটতে থাকা পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পেরে এই সময় ছেলে মেয়েরা শরীর মনে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। ওদের এই বিশেষ সমস্যাগুলোকে জেনে বুঝে নিন, সমস্যা কাটিয়ে উঠতে ওদের পাশে থাকুন বন্ধুর মতো। ওদের মনের দ্বিধাদ্বন্দ্বগুলোকে এড়িয়ে যাবেন না, সহানুভূতির সঙ্গে ওদের সমস্যাগুলো বুঝুন। ওদের সঙ্গে আলোচনা করুন খোলাখুলি, বন্ধুর ভূমিকা নিন। ছেলেদের সমস্যায় বাবা আর মেয়েদের সমস্যায় মা হতে পারেন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুশকিল আসান।

    বয়ঃসন্ধির সমস্যা আর মনস্তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করুন, বইপত্র পড়ূন সুস্থ স্বাভাবিক জীবনবোধের আলোয় ছেলে মেয়ের মধ্যে সুস্থ যৌনচেতনা গড়ে তুলতে আপনি করতে পারেন অনেকটাই।
    প্রজন্মবাহিত ভুল ধারণা, সংস্কার আর অন্ধকার ভুলেও ছেলে মেয়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ওদের সর্বনাশ করবেন না। যৌনতা ‘নোংরা, ’নিষিদ্ধ’ বা ‘খারাপ’ কোনো ব্যাপার নয়, এ হল জীবনের স্বাভাবিক এক অঙ্গ। নিজের ভুল আগে শুধরে নিন, তারপর ছেলেমেয়েদের শেখান। ‘ছেলেদের সঙ্গে মেয়েদের বন্ধুর মতো মেশা খারাপ’ নয়, এরকম সুস্থ সম্পর্ক যৌবনের সমস্যা কমায়। পিরিয়ডের রক্ত ‘বদরক্ত’ নয়, এতে ‘পাপ’ ধুয়ে বেরিয়ে আসে না। এ হল যৌবনের স্বাভাবিক এক শারীরবৃত্তীয় ঘটনা।

যৌবনের পরিবর্তনগুলোর বিজ্ঞানকে জেনে বুঝে নিন। ছেলে মেয়েদের বোঝান।

    কথায় কথায় তর্ক করা বা বড়দের অগ্রাহ্য করার প্রবণতা এ বয়সে থাকবেই। উত্তেজিত হবেন না, ছেলে মেয়েকে মারধর করতে যাবেন না। শাসনের আতিশয্যে সমস্যাকে জটিল না করে ওদের ভালটা ওদের বুঝিযে বলুন। সুস্থ বিতর্কে অংশ নিন।
    এই বয়সে ছেলে মেয়ের ওপর সতর্ক নজর অবশ্যই রাখবেন। তবে সব ব্যাপারে নাক গলাতে যাবেন না। ওদের স্বাধীনতার বোধকে সমমান করতে শিখুন। এতে আপনাদের  দূরত্ব কমবে।
    সব সময় ‘ওটা ভালো না’, ‘এটা কর না’ করতে যাবেন না। যা বলার ভালো করে, যুক্তি দিয়ে, ভালোবেসে বুঝিয়ে বলুন।
    ওদের নিজস্ব জগতে ঢুকতে চাইবেন না। ওদের কল্পনার জগতটাকে ভেঙে দেবেন না। ওদের জগতটাকে আপনি আপনার ছাঁচে গড়তে চাইলে ওদের ভবিষ্যত ক্ষতিগ্রস্ত হবেই।
    ১৫-১৬ বছরে মা মেয়েকে বুঝিযে দিন। যৌনতার বাস্তবতা, শরীর-মনের সম্পর্ক, ঋতুচক্রের বিজ্ঞান, অতি যৌনতার বিপদ, ব্যক্তিগত সতর্কতা।
    এই বয়সে বাবা ছেলেকে বুঝিয়ে বলুন- যৌনতার বাস্তবতা, অতি যৌনতার বিপদ, পর্ণো-গ্রাফিক ফাঁদ, অতিরঞ্জন আর অসারতা, যৌনরোগের বিস্তার আর বিপদ।
    আর একটু বড় হলে ১৭-১৮ বছরে ওদের বুঝিয়ে বলুন- জন্মরোধের ব্যবস্থাগুলো সম্পর্কে, প্র্যাক বিবাহ মেলামেশার বিপদ নিয়ে, অবাধ যৌনতার সর্বনাশ আর মারাত্মক যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ার বিপদ সম্পর্কে। আগে নিজে জানুন, তারপর ওদের জানান। ছেলেদের সতর্ক করুন নেশা বা মাদকাসক্তির বিপদ সম্পর্কে।
    ছেলে বা মেয়েকে বৈজ্ঞানিক যৌনশিক্ষা পেতে সাহায্য করুন। এ ব্যাপারে বইপত্র নির্বাচনে ওদের সাহায্য করুন, ‘স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞ’-দের থেকে সাবধান করুন।
    ছেলে বা মেয়েকে স্বমেহন(Masturbation)-এ রত বা পর্ণোগ্রাফির বইপত্র পড়তে দেখে ফেললে তখনকার মতো সরে যান। তখনই বকাবকি বা শাসন করতে যাবেন না। পরে সময় করে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করুন ছেলেমেয়েদের সঙ্গে। যুক্তি দিয়ে, বিজ্ঞানের আলোয়। আদেশ বা নির্দেশ নয়, ভালোবাসা দিয়ে।

বয়ঃসন্দির ছেলেমেয়ের বাবা-মায়েরা জানুন

        আপনাকে দেখেই আপনার ছেলে মেয়ে শিখবে। আপনার আচার আচরণে সংযত থাকুন।
        ওদের সঙ্গে বসে টিভিতে সেক্স ভায়োলেন্সে ঠাসা বই দেখবেন না।
        স্বমেহজন যৌবনের স্বাভাবিক এক অভ্যাস। এতে শরীর দুর্বল হবার, স্মৃতিশক্তি কমে যাবার বা ভবিষ্যত যৌন জীবন বিপন্ন হবার আশঙ্কা অপপ্রচার মাত্র। পরিণত স্বমেহন স্বাভাবিক, ব্যাপারটাকে বাতিক(obsession)বানিয়ে ফেললে তা অবশ্যই অস্বাভাবিক।
        ঋতুচক্র, উর্বর সময়কাল (Unsafe Period), অনুর্বর সময়কাল(Safe Period)সম্পর্কে জানুন। ১৮ বছর নাগাদ ছেলে মেয়েকে এই ব্যাপারগুলো জানতে-বুঝতে সাহায্য করুন।
        অবাধ যৌন সংসর্গের বিপদ নিয়ে চুপ করে থাকবেন না। ছেলে মেয়েকে এই বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করুন।
        মুহর্তের আবেগে শরীরী রোমাঞ্চর আবেশে যৌন সংসর্গের লিপ্ত হয়ে সারা জীবন অনুতাপ করতে হয় অনেককেই। ওদের বুঝিয়ে বলুন।
        কারও প্ররোচনায় বা ভুলে যৌনকর্মীদের কাছে গিয়ে কেউ কেউ এ বয়সে নানা যৌনরোগ বা মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়। সতর্ক থাকুন ওদের সব বুঝিয়ে সতর্ক থাকতে বলুন।

বিবাহিত জীবনের যৌনশিক্ষা

‘সামাজিক ও মানসিক দিক দিয়ে বিয়ে যে কোনো মানুষের জীবনে নতুন একটা মাত্রা, যা ভালোবাসার খুব কাছাকাছি’।- যৌন সম্পর্ক দাম্পত্যের গুরুত্বপূর্ণ একটা ভিত্তি, যৌন সম্পর্ক আর দাম্পত্য তবু সমার্থক নয়। কমবয়স থেকে যৌনশিক্ষার অভাবে নববিবাহিত দম্পতি বেশিরভাগ সময় একে অন্যকে না বুঝেই যৌন সম্পর্ক শুরু করেন। লজ্জা আর অস্বস্তি দিয়ে শুরু হয় দাম্পত্যের ভিত গড়া।

এ দেশে যুগযুগ ধরে মেয়েদের শেখানো হয়েছে, পুরুষের যৌন আকাঙ্ক্ষায় সাড়া দেয়াই নারীর এক মাত্র কাজ। বিজ্ঞান বলে পুরুষের মতো নারীরও রয়েছে স্বাভাবিক যৌন চাহিদা। যৌনতার আনন্দ দাম্পত্যের আনন্দের একটা অংশ। যৌনতার আনন্দ উপভোগ করতে না পারা অনেকটা ভালো খাবার আনন্দ করে খেতে না পারার মতো ব্যাপার।

বিবাহিত জীবনের  একেবারে শুরুতে আস্তে আস্তে পারসপরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে সুস্থ শরীরী সম্পর্ক গড়ে উঠতে শুরু করে। শরীর- মনের এই বোঝাপড়া তৈরি না হলে সুস্থ শরীরী সম্পর্ক গড়ে না ওঠার বিবাহিত নারী-পুরুষ সুখের বৃত্তে ঢুকতে বাধা পান। এর জন্য দায়ী শরীর-মনের পারসপরিক সম্পর্ক নিয়ে ধারণার অভাব, ন্যনতম যৌনবিজ্ঞানের অভাব আর এ নিয়ে নানা ধরনের সংস্কার।

দম্পতিতে দম্পতিতে যৌন চেতনায় বা যৌনরোধ তারতম্য থাকবেই। কোনো দম্পতির বেলায় শরীরী ভালোবাসা হয় তো তেমন গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যাপার নয়। আবার এমন দম্পতিও রয়েছেন যাদের ভালোবাসার মল কথাই হল শরীর। বিবাহিত জীবনে দু’জনের বোঝাপড়া গড়ে উঠতে সময় লাগে। এই বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে সুস্থ যৌননীতি তৈরি করে নেয়া একান্ত প্রয়োজন। যৌনজীবন ‘নোংরা’ বা ‘পাশবিক’ কোনো জীবন নয়, মানসিক ভালোবাসার গাছের মাটির উপরকার ডালপালা হলে, শারীরিক ভালোবাসা হল মাটির নিচে থাকা গাছের শিকড়বাকড়। যৌনচাহিদা খিদে বা তেষ্টার মতোই স্বাভাবিক, এতে ‘নোংরামি’-র কিছু থাকতে পারে না।