চাকরি হারালেন ছাত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস
ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মাহফুজুর রশিদ ফেরদৌসকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত ও চাকরির শর্ত অনুযায়ী তাকে ৪ মে থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক সফিউল্লাহ সোমবার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ মে রাজধানীর রমনার একটি ফ্ল্যাট থেকে শিক্ষক ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এর পর গত শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকার মহানগর হাকিম কাজী কামরুল ইসলামের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেন তিনি।
জবানবন্দিতে শিক্ষক ফেরদৌস জানান, প্রথমে ছাত্রীদের ফুঁসলিয়ে নিজের শ্বশুরের দেওয়া ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতেন তিনি। পরে তাদের কাছে নগ্ন সেলফি চাইতেন। এরপর ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়তেন। উভয়ের সম্মতিতেই এটা হতো।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেন, প্রথমে ছাত্রীদের শর্ত প্রদান করতাম। আমি তোমাদের পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেব ও ভালো নম্বর দেব। এর বিনিময়ে আমি যা চাইব তা দিতে হবে। এতে ছাত্রীরা রাজি হলে তাদেরকে ফ্ল্যাটে নিয়ে যেতাম। ফ্ল্যাটে নেওয়ার পর তাদের সঙ্গে গল্প করতাম এবং তাদের নগ্ন সেলফি চাইতাম। বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানি করতাম। কোনো কোনো ছাত্রী আমার আচরণ বুঝতে পেরে চলে যেত। আর যাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠতো তা উভয়ের সম্মতিতেই হতো। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রীই প্রাপ্তবয়স্ক।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল সায়েম কলাবাগান থানায় মামলা করেন। পরে ওই রাতেই কলাবাগানের বাসা থেকে ফেরদৌসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে বুধবার তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।ত্রীদের নগ্ন ছবি চাওয়া শিক্ষক ফেরদৌস