Showing posts with label কুরআন ও হদীস. Show all posts
Showing posts with label কুরআন ও হদীস. Show all posts

রমজান মাস সম্পর্কিত কিছু হাদিসঃ

রমজান মাস সম্পর্কিত কিছু হাদিসঃ
রমজান মাস সম্পর্কিত কিছু হাদিসঃ

রমজান মাস সম্পর্কিত কিছু হাদিসঃ

হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
আল্লাহ তাআলার কসম! মুসলমানদের জন্য রমযানের চেয়ে উত্তম কোনো মাস আসেনি এবং মুনাফিকদের জন্য রমযান মাসের চেয়ে অধিক ক্ষতির মাসও আর আসেনি। কেননা মুমিনগণ এ মাসে (গোটা বছরের জন্য) ইবাদতের শক্তি ও পাথেয় সংগ্রহ করে। আর মুনাফিকরা তাতে মানুষের উদাসীনতা ও দোষত্রুটি অন্বেষণ করে। এ মাস মুমিনের জন্য গনীমত আর মুনাফিকের জন্য ক্ষতির কারণ।-মুসনাদে আহমদ, হাদীস ৮৩৬৮, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা, হাদীস-৮৯৬৮, সহীহ ইবনে খুযাইমা, হাদীস-১৮৮৪, তাবারানী হাদীস-৯০০৪, বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাদীস-৩৩৩৫



হযরত আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-

إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة، وغلقت أبواب النار، وصفدت الشياطين.

যখন রমযান মাসের আগমন ঘটে, তখন জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেওয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাসমূহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়।-সহীহ বুখারী, হাদীস-১৮৯৮, সহীহ মুসলিম, হাদীস-১০৭৯ (১), মুসনাদে আহমদ হাদীস-৮৬৮৪, সুনানে দারেমী, হাদীস-১৭৭৫





হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রোযা এবং কুরআন কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোযা বলবে, আমি তাকে দিনের বেলায় পানাহার ও প্রবৃত্তির চাহিদা মেটানো থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং তার ব্যাপারে আমার সুপারিশ কবুল করুন। কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতে ঘুম থেকে বিরত রেখেছি। সুতরাং আমার সুপারিশ কবুল করুন। তখন দু’জনের সুপারিশই গ্রহণ করা হবে।-মুসনাদে আহমদ হাদীস : ৬৫৮৯; তবারানী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৪১৯





হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন,

من افطر يوما من رمضان متعمدا من غير سفر ولا مرض لم يقضه ابدا، وان صام الدهر كله، … وقد ذكره البخاري تعليقا بصيغة الجزم حيث قال : وبه قال ابن مسعود، وقال الشيخ محمد عوامه : وهذا الحديث موقوف لفظا ومرفوع حكما

যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমযানের একটি রোযাও ভঙ্গ করে, সে আজীবন রোযা রাখলেও ঐ রোযার হক আদায় হবে না।-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৯৩; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদীস : ৭৪৭৬; সহীহ বুখারী ৪/১৬০

হযরত আলী রা. বলেন-

من افطر يوما من رضمان متعمدا لم يقضه أبدا طول الدهر.

যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমযান মাসের একটি রোযা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোযার (ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না।- মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮



রোযার হালতে গীবত করলে, গালি-গালাজ করলে, টিভি-সিনেমা ইত্যাদি দেখলে, গান-বাদ্য শ্রবণ করলে এবং যে কোনো বড় ধরনের গুনাহে লিপ্ত হলে রোযা মাকরূহ হয়ে যায়। আর এ কাজগুলো যে সর্বাবস্থায় হারাম তা তো বলাই বাহুল্য।

হাদীসে কুদসীতে আছে, আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন- اذا كان يوم صوم احدكم فلا يرفث ولا يصخب ‘তোমাদের কেউ যখন রোযা রাখে তখন সে যেন অশালীন কথাবার্তা না বলে ও হৈ চৈ না করে। -সহীহ বুখারী হাদীস : ১৯০৪;

রমজানের রোযা ফরজ হওয়া। (হাদীস নং ৯৩৪-৯৬৭)

রমজানের রোযা ফরজ হওয়া। (হাদীস নং ৯৩৪-৯৬৭)
রমজানের রোযা ফরজ হওয়া। (হাদীস নং ৯৩৪-৯৬৭)

রমজানের রোযা ফরজ হওয়া। (হাদীস নং ৯৩৪-৯৬৭)



মহান আল্লাহ তাআলার বাণী- “হে ঈমানদারগণ! তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের মত তোমাদের উপরও রোযা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়ার অধিকারী হতে পার।” (সুরা বাকারা-১৮৩)
৯৩৪। হাদীস : তালহা বিন ওবায়দুল্লাহ (রাঃ) বলেন, একদা জনৈক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর কাছে আগমন করে। তার মাথার চুল ছিল ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত। সে বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সঃ)! আমাকে বলুন, আল্লাহ আমার উপর কত ওয়াক্ত নামায ফরজ করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেন, পাঁচ ওয়াক্ত। তবে তুমি যদি নফল নামায পড় তবে তা স্বতন্ত্র কথা। লোকটি বলল,আমাকে বলুন, আল্লাহ আমার উপর কতটা রোযা ফরজ করেছেন? রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেন,গোটা রমজান মাস,তবে তুমি যদি নফল রোযা রাখ তবে তা স্বতন্ত্র কথা। লোকটি আবার বলল, রাসূলুল্লাহ (সঃ)! আমাকে বলুন, আল্লাহ আমার উপর কি পরিমান যাকাত ফরজ করেছেন? এবার রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাকে ইসলামের বিধি বিধান জানিয়ে দিলেন। অতপর লোকটি বলল, সেই মহান সত্তার শপথ যিনি আপনাকে সত্য বিধান দিয়ে সম্মানীত করেছেন। মহান আল্লাহ আমার উপর যা ফরজ করেছেন,আমি তা কম বেশি করবো না।
লোকটির মন্তব্য শুনে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেন, সে সত্য বলে থাকলে সফলতা লাভ করল। অথবা বললেন (বর্ণনাকারীর সন্দেহ), সে সত্য বলে থাকলে জান্নাত লাভ করল।
(ছহীহ বোখারী,প্রথম খন্ড, পৃষ্টা ৩৩৩)
রোযার মর্যাদা। (হাদীস নং ৯৩৫)
হাদীসের পাতা থেকে
৯৩৫। হাদীস : আবূ হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুল (সঃ) ইশরাদ করেছেন, (গুনাহ হতে বাঁচার জন্য) রোযা ঢাল স্বরূপ। সুতরাং রোযাদার অশ্লীল কথা বলবে না বা জাহেলী আচরণ করবে না। কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে উদ্যত হলে অথবা গালমন্দ করলে সে তাকে দুই বার বলবে, আমি রোযাদার।
তিনি আরো বলেন, যার হাতে আমার জীবন সেই সত্তার শপথ! রোযাদারের মুখের দুর্গন্ধ মহান আল্লাহর নিকট কস্তুরীর সুগন্ধ হতেও অতি উৎকৃষ্ট। আল্লাহ বলেন, রোযাদার খাদ্য ,পানীয়,ও কামভাব পরিত্যাগ করে আমার উদ্দেশেই রোযা রাখে। সুতরাং আমি তাকে বিশেষভাবে রোযার পুরস্কার দান করবো। আর নেক কাজের পুরস্কার দশ গুণ পর্যন্ত দেয়া হবে। (ছহীহ বোখারী,প্রথম খন্ড,পৃষ্টা ৩৩৩)
যে ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে সওয়াবের আশায় রমজানের রোযা রাখে। (হাদীস নং ৯৩৮)
৯৩৮। হাদীস : আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সঃ) ইশরাদ করেছেন, যে ঈমান ও বিশ্বাস সহকারে সওয়াবের আশায় শবে কদরে নামায পড়ে এবং রমজানের রোযা রাখবে,তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বোখারী,১/৩৩৪)
ঈদের দু’টি মাসই ঊনত্রিশ দিন হয় না। (হাদীস নং ৯৪০)
৯৪০। হাদীস : আবু বাকরা (রাঃ) তাঁর পিতা থেকে রেওয়ায়াত করেন,নবী করীম (সঃ) ইশরাদ করেছেন,এমন দু’টি মাস আছে যার উভয়টি (পর পর) ঘাটতি অর্থাৎ ঊনত্রিশ দিন হয় না।আর তা হল ঈদের দু’টি মাস রমজান এবং যিলহজ্ব। (বোখারী,১/৩৩৪)
রমজানের একদিন বা দু’দিন পূর্বে রোযা রাখা যাবে না। (হাদীস নং ৯৪১)
৯৪১। হাদীস : আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সঃ) ইশরাদ করেছেন, তোমাদের কেউ রমজানের একদিন বা দু’দিন পূর্বে নফল রোযা রাখা যাবে না। তবে কেউ যদি প্রতিমাসে এ রোযা রাখতে অভ্যস্ত ,তাহলে রাখতে পার। (বোখারী,১/৩৩৪)
সেহরী ও ফজরের নামাজের মাঝখানে সময়ের ব্যবধান। (হাদীস নং ৯৪৩)
৯৪৩। হাদীস: যায়েদ বিন সাবেত (রা বলের, আমরা রাসূলুল্লাহ্ (সা এর সাথে সেহরী খেয়েছি। তার পর নামায পড়তে দাড়িঁয়েছেন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি যায়দ ইবনে সাবেত (রাঃ)- কে জিজ্ঞাসা করলাম,সেহরী ও আযানের মাঝখানে কত সময়ের ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন,পঞ্চাশ আয়াত পাঠ করার মত সময়ের ব্যবধান ছিল। (বোখারী,১/৩৩৫)
সেহরী খাওয়ার কল্যাণ বরকত লাভ হয়। (হাদীস নং ৯৪৪)
৯৪৪। হাদীস : হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সঃ) বলেছেন, তোমরা সেহরী খাও। কেননা সেহরী খাওয়ায় বরকত লাভ হয়। (বোখারী,১/৩৩৫)
রোযাদার ভূলবশতঃ পানাহার করলে,তার হুকুম। (হাদীস নং ৯৪৮)
৯৪৮। হাদীস ; আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (সঃ) বলেছেন, রোযাদার যদি ভুল করে কিছু খায় বা পান করে, তা হলে সে (ইফতার না করে) রোযা পূর্ণ করবে।কেননা আল্লাহ তায়ালা তাকে পানাহার করিয়েছেন। (বোখারী, ১/৩৩৫)
সফরে রোযা রাখা না রাখা উভয়ের অনুমতি আছে। (হাদীস নং ৯৫০)
৯৫০। হাদীস : হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, হামযা ইবনে আমরুল আসলামী (রাঃ) অধিক মাত্রায় রোযা রাখতে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি নবী করীম (সঃ) – কে বললেন, হে রাসুল (সঃ)! আমি সফরেও রোযা রেখে থাকি। নবী করীম (সঃ) বললেন, সফর অবস্থায় তুমি ইচ্ছা করলে রোযা নাও রাখতে পার।
(বেখারী , ১/৩৩৫)
মৃত ব্যক্তির ফরয রোযার কাজা থাকলে করণীয়। (হাদীস নং ৯৫৩)
৯৫৩। হাদীস : হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, মৃত ব্যক্তির উপর রোযার কাজা থাকলে অভিভাবক তার পক্ষ থেকে তা আদায় করবে। (বোখারী,১/৩৩৬)
সূর্যাস্তের সাথে সাথে অনতিবিলম্বে ইফতার করা। (হাদীস নং ৯৫৫)
৯৫৫। হাদীস : সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সঃ) ইশরাদ করেছেন, যতদিন লোকেরা তাড়াতাড়ি (সূর্যাস্তের সাথে সাথে) ইফতার করবে , ততদিন কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হবে না।
(ছহীহ বোখারী শরীফ,১/ ৩৩৬)
প্রতি মাসের ১৩,১৪,১৫ তারিখে রোযা রাখা। (হাদীস নং ৯৫৮)
৯৫৮। হাদীস : হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমার পরম বন্ধু নবী করীম (সঃ) আমাকে তিনটি বিষয়ের অসিয়ত করে গেছেন, (১) আমি যেন প্রতি মাসের (১৩,১৪,১৫,তারিখে) তিনটি রোযা রাখি, (২) চাশতের সময় দু’রাকাত নামায পড়ি, (৩) রাত্রে নিদ্রা যাওয়ার আগেই বেতেরের নামায আদায় করি। (বোখারী, ১/৩৩৭)
জুমআর দিন রোযা রাখা। (হাদীস নং ৯৫৯)
৯৫৯। হাদীস : আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন, আমি নবী করীম (সঃ) -কে বলতে শুনেছি ,তোমাদের কেউ যেন কখনো শুধু জুমআর দিনে রোযা না রাখে। (যদি রাখতে হয়) তবে জুমআর আগের কিংবা পরের দিনও যেন রোযা রাখে। (বোখারী, ১/৩৩৭)
তারাবীহ নামাযের ফযীলত । (হাদীস নং ৯৬৬)
৯৬৬। হাদীস : আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সঃ)-বলতে শুনেছি,যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে সওয়াবের আশায় তারাবীহর নামাযে দাঁড়ায় (নামায আদায় করে), তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বোখারী, ১/৩৩৮)
লাইলাতুল কদরের ফযীলত। (হাদীস নং ৯৬৭)
৯৬৭। হাদীস : হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সঃ) ইশরাদ করেছেন,যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সাথে এবং সওয়াবের আশায় রমযানের রোযা রাখে , শবে কদরের রাত্রে দাঁড়ায়, তার আগেকার সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়। (বোখারী,১/৩৩৮)

সৌদি আরবে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছেঃ

 রোববার সন্ধ্যায় সৌদি আরবের আকাশে পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেছে। দেশটির চাঁদ দেখা কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।রোববার রাতে তারাবি নামাজ আদায় করা হবে এবং শেষ রাতে সাহরি খেয়ে রোজা রাখবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা। সোমবার হবে প্রথম রোজা।তারাবি নামাজের জন্য সৌদি আরবের মসজিদগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। মুসল্লিদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

জিনা প্রমাণীত হওয়ার জন্য চারজন স্বাক্ষী কেন প্রয়োজন

জিনা প্রমাণীত হওয়ার জন্য চারজন স্বাক্ষী কেন প্রয়োজন


 জিনা প্রমাণীত হওয়ার জন্য চারজন স্বাক্ষী কেন প্রয়োজন

  মহান আল্লাহ সমসÍ মাখলুকাতের মধ্য হতে মানুষকে সবচেয়ে সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন। মানুষ লাভ করেছে সর্বশ্রেষ্ঠ মাখলুকাতের সুমহান মর্যাদা। উদ্দেশ্য একটাই, মানুষ তাঁর সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর ইবাদত করবে। সবসময় সবক্ষেত্রে তাঁর এবং তাঁর রাসূল সাঃ এর দিকনির্দেশনা মেনে চলবে। সর্বাত্নক চেষ্টা করবে নিজেকে জান্নাতিদের সফলকাম কাঁতারে শামিল করার জন্য। শতচেষ্টার পরেও প্রকাশ্য দুশমন শয়তানের প্ররোচনায়, প্রবৃত্তির তাড়নায় কখন কখন মানুষ তার প্রতিপালককে ভুলে যায়। বিচ্যুত হয় সঠিক পথ থেকে, আর লিপ্ত হয় নানা রকম অপকর্মে। হাতছাড়া করে ফেলে শ্রেষ্ঠত্যের মহান গুন। তারপরেও ইসলাম চাই মানুষ তার পাপ কর্মের ব্যাপারে লজ্জিত আর অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসুক আল্লাহর দিকে। তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে ফিরে পাক তার হারানো সম্মান। আর তার পাপকর্মটি গোপন থাকুক অন্যান্য মানুষের নিকট। কেউ যদি তার দোষত্রুটি জেনে ফেলে তাকে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে উক্ত দোষ গোপন রাখতে। উপরোন্ত তা গোপন রাখার ব্যাপারে হাদীস শরীফে ফযীলত বর্ণনা করা হয়েছে। এক হাদীসে তিনি বলেন:

مَنْ سَتَرَ مُسْلِمًا سَتَرَهُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَة

“ যে ব্যাক্তি কোন মুসলমানের দোষ গোপন করবে আল্লাহ তা’য়ালা কিয়ামতের দিন তার দোষ গোপন করবেন।” বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ২৪৪২। মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ৬৭৪৩।

পাশাপাশি কঠোরভাবে নিষেধ করা হয়েছে দোষচর্চা করতে। বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসূলে কারীম সাঃ বলেন:

فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ

অর্থঃ “তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ, তোমাদের সম্মান পরষ্পরের জন্য হারাম (সম্মানিত)।বুখারী, আস-সহীহ, হাদীস নং ৬৭। মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ৪৪৭৮।

কোরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ কারো দোষচর্চা বা গীবত করাকে মৃতভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করেছে। এরশাদ হয়েছে:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اجْتَنِبُوا كَثِيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعْضَ الظَّنِّ إِثْمٌ وَلَا تَجَسَّسُوا وَلَا يَغْتَبْ بَعْضُكُمْ بَعْضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُمْ أَنْ يَأْكُلَ لَحْمَ أَخِيهِ مَيْتًا فَكَرِهْتُمُوهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوَّابٌ رَحِيمٌ

অর্থঃ “ হে মু’মিনগণ ! তোমরা অধিকাংশ ধারনা থেকে বিরত থাক ; কারণ কিছু কিছু ধারণা পাপ। আর তোমরা একে অপরের দোষ তালাশ করনা। আর কেউ যেন কারো পশ্চাতে দোষচর্চা না করে। তোমাদের মধ্যে কেউ কি তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে পছন্দ করে? বস্তুত তোমরা তো এটাকে অপছন্দই করো। তোমরা আল্লাহকে ভয় কর ; আল্লাহ তাওবা কবুল কারী ,পরম দয়ালু।” সূরা-হুজরাত, আয়াত-১২।

ইসলাম কখনই চাই না যে, ব্যাক্তির দোষ প্রকাশ পাক। বরং এর বিপরীতে কারো দোষ গোপন রাখার ব্যাপারে রাসূল সাঃ ফযীলত বর্ণনা করেছেন।

অনুরুপভাবে অযৌক্তিক বা বিনা কারনে কাউকে হত্যা করার ব্যাপারে ইসলাম ঘোর বিরোধী। কোরআনে কারীমে বিনা কারনে একজনের হত্যাকে সমস্ত মানুষকে হত্যা করার সাথে তুলনা করেছে। মহান আল্লাহ বলেন:

مَنْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا

অর্থঃ “ যে ব্যাক্তি কোন হত্যাকান্ড ছাড়া বা দুনিয়ায় কোন ধবংসাতœক কাজ করা ছাড়া কাউকে হত্যা করল সে যেন সকল মানুষকেই হত্যা করল।”   সূরা মায়িদা, আয়াত নং ৩২।

কোন অপরাধ অথবা গুরুত্বপূর্ণ কোন বিচারকাজ সম্পাদন করার জন্য ইসলাম উক্ত বিষয়ে নিশ্চিত হতে বা শক্তিশালী করতে সাক্ষীর ব্যাবস্থা করেছে। সকল ক্ষেত্রে এক, দুই বা তিনজন সাক্ষী নির্ধারণ করলেও যিনার ক্ষেত্রে চারজন সাক্ষীর শর্তরোপ করা হয়েছে। কোরআনে কারীমে এরশাদ হয়েছে :

وَاللَّاتِي يَأْتِينَ الْفَاحِشَةَ مِنْ نِسَائِكُمْ فَاسْتَشْهِدُوا عَلَيْهِنَّ أَرْبَعَةً مِنْكُمْ

অর্থঃ “তোমাদের নারীদের মধ্যে যারা ব্যভিচার করে তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের মধ্য হতে চারজন সাক্ষী তলব কর।” সূরা নিসা, আয়াত-১৫।

চারজনের কম হলে উক্ত সাক্ষ্য গ্রহনযগ্য তো হবেই না, উল্টা তাদের উপরই অপবাদের শাস্তি হিসাবে আশিবার বেত্রাঘাতের বিধান দিয়েছে ইসলাম ।এপ্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক এরশাদ করেন:

لَوْلَا جَاءُوا عَلَيْهِ بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَإِذْ لَمْ يَأْتُوا بِالشُّهَدَاءِ فَأُولَئِكَ عِنْدَ اللَّهِ هُمُ الْكَاذِبُونَ

অর্থঃ “তারা কেন এব্যাপারে চারজন সাক্ষী উপস্থিত করেনি? যেহেতু তারা সাক্ষী উপস্থিত করেনি সে কারনে তারা আল্লাহর নিকট মিথ্যাবাদী।” সূরা নূর,আয়াত-১৩।

অপর একটি আয়াতে আল্লাহ বলেন:

وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ

অর্থঃ “যাহার সাধ্ববী নারীদের ব্যাপারে অপবাদ আরোপ করে এবং চারজন সাক্ষী উপস্থিত করেনা , তাদেরবে আশিটি বেত্রঘাত করবে এবং কখন তাদের সাক্ষ্য গ্রহন করবে না ।মুমিনের জন্য এটা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সূরা নূর, আয়াত-৪।

হযরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণীত একটি হাদীসে

سعد بن عبادة قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم: يا رسول الله، أرأيت إن وجدت مع امرأتي رجلا، أمهل حتى آتي بأربعة شهداء؟ قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: “نعم”

হযরত সা’দ ইবনে উবাদাহ রাঃ রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন , হে আল্লাহর রাসূল সাঃ আমি যদি আমার স্ত্রীর সাথে কাউকে দেখি তাহলে আমি কি চারজন সাক্ষী উপস্থিত করা পর্যন্ত ছেড়ে দিব? উত্তরে রাসূল সাঃ বললেন : হা। শায়েখ শুয়াইব আরনাউত বলেন; হাদীসের সনদটি সহীহ। সহী ইবনে হিব্বান , তাহকীক, শুয়াইব আরনাউত, হাদীস নং ৪৪০৯। ” মুসলিম, আস-সহীহ, হাদীস নং ১৪৯৮।

কাউকে কোন অপরাধে লিপ্ত দেখে তাকে বিচারকের নিকট সোপর্দ করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আতœপক্ষ সমর্থনের মাধ্যমে বিচার ছাড়া কেউ শাস্তি দিতে পারবে না। এ প্রক্রিয়ার বাইরে স্বয়ং রাষ্ট্রপ্রধান বা প্রধান বিচারপতিও কাউকে শাস্তি দিতে পারবে না ।খলীফা উমার রাঃ আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাঃ কে বলেন:

لَوْ رَأَيْتَ رَجُلاً عَلَى حَدٍّ زِنًا ، أَوْ سَرِقَةٍ وَأَنْتَ أَمِيرٌ فَقَالَ شَهَادَتُكَ شَهَادَةُ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ قَالَ صَدَقْتَ

অ র্থঃ আপনি শাসক থাকা অবস্থায় যদি কাউক ব্যভিচারের অপরাধে বা চুরির অপরাধে রত দেখতে পান তাহলে তার বিচারের বিধান কী? (নিজের দেখাতেই কি বিচার করতে পারবেন?) ” আব্দুর রহমান রাঃ বললেন, “আপনার সাক্ষ্যও একজন সাধারন মুসলিমের সাক্ষ্যের সমান।” উমার রাঃ বলেন,“আপনি ঠিকই বলেছেন।” বুখারী আস-সহীহ , কিতাবুল ফিতান, বাব, আশ্ শাহাাদাত তাকুনু ইনদাল হাকীম।

অর্থৎ রাষ্ট্রপ্রধান নিজের হাতে বিচার তুলে নিতে পারবেন না ।এমনকি তার সাক্ষ্যের অতিরিক্ত কোন মূল্যও নেই। রাষ্ট্রপ্রধানের একার সাক্ষ্যে কোন বিচার হবে না ।বিধিমোতাবেক দুই জন বা চারজন সাক্ষীর কমে বিচারক কারো বিচার করতে পারবেন না।

অন্য ঘটনায় উমার রাঃ রাত্রে মদীনায় ঘোরাফেরা করার সময় একব্যাক্তিকে ব্যভিচারে লিপ্ত দেখতে পান। তিনি পরদিন সাহাবীগণকে জিজ্ঞাসা করেন, যদি রাষ্ট্রপ্রধান কাউকে ব্যভিচারে লিপ্ত দেখতে পান তাহলে তিনি কি শাস্তি প্রদান করতে পারবেন? তখন আলী রাঃ বলেন, কখনই না। আপনি ছাড়া আরো তিনজন প্রত্যক্ষ্য সাক্ষী যদি অপরাধের সাক্ষ্য না দেয় তাহলে আপনার উপরের মিথ্যা অপবাদের শাস্তি প্রয়োগ করা হবে। আল কানযুল আকবার ১/২২৭ ।

এটা স্পষ্ট বিষয় যে, চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যর ভিত্তিতে জিনা প্রমাণীত হওয়া এক বিরাট কঠিন বিষয়।একারনেই শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহঃ বলেন:ইসলামের শুরু থেকে এপর্যন্ত সাক্ষ্যর ভিত্তিতে জিনা প্রমাণীত হয়নি। যা হয়েছে তা স্বীকরোক্তির ভিত্তিতে হয়েছে।

এব্যাপারে ইসলামের সর্বোচ্চ এ সতর্কতা গ্রহন বা কঠিন শর্তারোপের কারন হল, মানুষের জীবন অতি মূল্যাবান। বিচারক সর্বাতœক চেষ্টা করবে মৃত্যুদন্ড না দেয়ার জন্য। ফুক্বাহায়ে কেরাম এব্যাপারে একমত পোষণ করেছেন যে, অপরাধের পূর্ণতার ব্যাপারে সামান্যতম সন্দেহ থাকলেও আর মৃত্যুদন্ড দেয়া যাবে না। কারন, বিচারকের ভুলে নিরাপরাধের বা কম অপরাধীর বেশি শাস্তি হওয়ার চেয়ে অপরাধীর মুক্তি বা বেশি অপরাধের জন্য কম শাস্তি বাঞ্চনীয়।

তারপরেও যখন এই জঘণ্য কর্মটি চারজন ব্যাক্তি প্রত্যক্ষ্য করতে সক্ষম হয় তাহলে বুঝতে হবে সে ব্যাক্তি অধঃপতনের সর্বনিম্ম পর্যয়ে পৌছে গেছে এবং এই কর্মটি প্রকাশ্যে করেছে। এই অবস্থায় ব্যাপক স্বার্থে ইসলাম তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় দেয়ার অনুমতি প্রদান করে। আল্লাহ আমাদেরকে পরিপূর্ণ তাকওয়া অর্জন করার তাওফীক দান করুন।

রোজার মাকরুহগুলো

রোজার মাকরুহগুলো
রোজার মাকরুহগুলো

রোজার মাকরুহগুলো 

 * অনাবশ্যক কোনো জিনিস চিবানো বা চাখা
* কোনো দ্রব্য মুখে দিয়ে রাখা
*গড়গড় করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়া কিন্তু পানি যদি নাক দিয়ে গলায় পৌঁছে যায়, তাহলে রোজা ভেঙে যাবে
* ইচ্ছাকৃত মুখে থুথু জমা করে গলাধঃকরণ করা
* গীবত, গালা-গালি ও ঝগড়া-ফাসাদ করা। কেউ গায়ে পড়ে ঝগড়া-ফাসাদ করতে এলে বলবে, আমি রোজাদার তোমাকে প্রত্যুত্থর দিতে অক্ষম
* সাড়া দিন নাপাক অবস্থায় থাকা। এটি অত্যন্ত গুনাহের কাজ
* অস্থিরতা ও কাতরতা প্রকাশ করা
* কয়লা চিবিয়ে অথবা পাউডার, পেস্ট ও মাজন ইত্যাদি দ্বারা দাঁত পরিষ্কার করা
যেসব কারণে রোজা না রাখলেও ক্ষতি নেই:
*    কোনো অসুখের কারণে রোযা রাখার শক্তি হারিয়ে ফেললে অথবা অসুখ বৃদ্ধির ভয় হলে। তবে পরে তা কাযা করতে হবে।
*   গর্ভবতী স্ত্রী লোকের সন্তান বা নিজের প্রাণ নাশের আশঙ্কা হলে রোজা ভঙ্গ করা বৈধ তবে কাযা করে দিতে হবে।
*   যেসব স্ত্রী লোক নিজের বা অপরের সন্তানকে দুধ পান করান রোজা রাখার ফলে যদি দুধ না আসে তবে রোজা না রাখার  অনুমতি আছে কিন্তু পরে কাযা আদায় করতে হবে।
*   শরিয়তসম্মত মুসাফির অবস্থায় রোযা না রাখার অনুমতি আছে। তবে রাখাই উত্তম।
*    কেউ হত্যার হুমকি দিলে রোযা ভঙ্গের অনুমতি আছে। পরে এর কাযা করতে হবে।
*    কোনো রোগীর ক্ষুধা বা পিপাসা এমন পর্যায়ে চলে গেল এবং কোনো দ্বীনদার মুসলিম চিকিৎসকের মতে রোজা ভঙ্গ না করলে তখন মৃত্যুর আশঙ্কা আছে। তবে রোযা ভঙ্গ করা ওয়াজিব। পরে তা কাযা করতে হবে।
*   হায়েজ-নেফাসগ্রস্ত (বিশেষ সময়ে) নারীদের জন্য রোজা রাখা জায়েজ নয়। পরবর্তীতে কাযা করতে হবে।
রোজার নিয়তঃ
নাওয়াইতু আন আছুমাগাদাম মিন শাহরি রমাজানাল মুবারাকি ফারদ্বল্লাকা ইয়া আল্লাহু ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নীকা আন্তাস সামিউল আলীম।
ইফতারির দোয়াঃ
আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আলা রিজক্কিকা আফতারতু বি-রহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমীন।
আসুন ভাই আমরা সবাই রমজানের রোজা রাখি এবং রমজানের প্রকৃত শিক্ষা গ্রহন করি।
আমীন

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহঃ

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহঃ

রোজা ভঙ্গের কারণ সমুহঃরোজা ভঙ্গের কারণ সমুহঃ

 ১. ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে।
২. স্ত্রী সহবাস করলে ।
৩. কুলি করার সময় হলকের নিচে পানি চলে গেলে (অবশ্য রোজার কথা স্মরণ না থাকলে রোজা ভাঙ্গবে না)।
৪. ইচ্ছকৃত মুখভরে বমি করলে।
৫. নস্য গ্রহণ করা, নাকে বা কানে ওষধ বা তৈল প্রবেশ করালে।
৬. জবরদস্তি করে কেহ রোজা ভাঙ্গালে ।
৭. ইনজেকশান বা স্যালাইরনর মাধ্যমে দেমাগে ওষধ পৌছালে।
৮. কংকর পাথর বা ফলের বিচি গিলে ফেললে।
৯. সূর্যাস্ত হয়েছে মনে করে ইফতার করার পর দেখা গেল সুর্যাস্ত হয়নি।
১০. পুরা রমজান মাস রোজার নিয়ত না করলে।
১১. দাঁত হতে ছোলা পরিমান খাদ্য-দ্রব্য গিলে ফেললে।
১২. ধূমপান করা, ইচ্ছাকৃত লোবান বা আগরবাতি জ্বালায়ে ধোয়া গ্রহন করলে।
১৩. মুখ ভর্তি বমি গিলে ফেললে ।
১৪. রাত্রি আছে মনে করে সোবহে সাদিকের পর পানাহার করলে।
১৫মুখে পান রেখে ঘুমিয়ে পড়ে সুবহে সাদিকের পর নিদ্রা হতে জাগরিত হওয়া
এ অবস্থায় শুধু কাজা ওয়াজিব হবে।
আর যদি রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে স্বামী-স্ত্রী সহবাস অথবা পানাহার করে তবে কাজা ও কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। কাফফারার মাসআলা অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামের থেকে জেনে নেবে।